৬০টি সংরক্ষিত আসন চায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ,এরশাদ অর্ধেকে রাজি!
জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন চায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এরশাদ তার অর্ধেক দিতে চেয়েছেন। এতে হিন্দু সম্প্রদায় পুরো খুশী না হলেও আধা খুশী হতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশের একজন নাগরিকের কি এতে খুশী হওয়া উচিত? আসেন এটা নিয়ে আলাপ করি।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আর এরশাদ বলছে, হিন্দু নেতা নির্বাচন করবে হিন্দুরাই, এবং হিন্দুরা মুসলমান নেতাকে নির্বাচিত করবেনা। এর চাইতে সাম্প্রদায়িক বিভেদাত্মক কোন দাবী হতে পারে? সম্প্রদায়ের আলাদা আলাদা নির্বাচন তো রিপাবলিকান স্টেটের ধারণার সম্পুর্ন বিপরীত। এইটা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের বারোটা বাজানোর তরিকা। এই দাবী আর প্রতিশ্রুতি তো এটাই বলে হিন্দু আর মুসলমান একসাথে এক রাষ্ট্রে থাকতে পারেনা। এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রে সবাই সম অধিকার নিয়ে নাগরিক। এই রাষ্ট্রে সবার হিস্যা সমান, সবার দায়ও সমান। আমরা যখন রাষ্ট্র গঠন করি তখন নাগরিক পরিচয়ে রাষ্ট্র গঠন করি, হিন্দু বা মুসলমান পরিচয়ে রাষ্ট্র গঠন করিনা।
বৃটিশ ভারতে প্রবর্তিত হয়েছিলো সম্প্রদায়ভিত্তিক নির্বাচন। এটাকে বলা হয় রোয়েদাদ। এই রোয়েদাদেই ছিল ভবিষ্যৎ ভারত ভাগের বীজ। ১৯৩২ সালের সাম্প্রদায়িক রোয়েদাদের ফল হয়েছিলো এটাই যে ভারতে হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায় একসাথে রাষ্ট্র গড়ে থাকতে পারবেনা। সেটা ভালো হয়েছে নাকি মন্দ হয়েছে সেই আলোচনা ভিন্ন আলাপ। কিন্তু সম্প্রদায়ভিত্তিক নির্বাচন মানেই সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে রাষ্ট্র ভাংগার প্রস্তুতি নেয়া।
এরশাদের বয়স হয়েছে ম্যালা, কিন্তু তার শয়তানি বুদ্ধি আর গেলোনা। দেশটাকে ধবংস না করে মনে হয় এই ব্যাটা থামবে না।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আর এরশাদ বলছে, হিন্দু নেতা নির্বাচন করবে হিন্দুরাই, এবং হিন্দুরা মুসলমান নেতাকে নির্বাচিত করবেনা। এর চাইতে সাম্প্রদায়িক বিভেদাত্মক কোন দাবী হতে পারে? সম্প্রদায়ের আলাদা আলাদা নির্বাচন তো রিপাবলিকান স্টেটের ধারণার সম্পুর্ন বিপরীত। এইটা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের বারোটা বাজানোর তরিকা। এই দাবী আর প্রতিশ্রুতি তো এটাই বলে হিন্দু আর মুসলমান একসাথে এক রাষ্ট্রে থাকতে পারেনা। এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রে সবাই সম অধিকার নিয়ে নাগরিক। এই রাষ্ট্রে সবার হিস্যা সমান, সবার দায়ও সমান। আমরা যখন রাষ্ট্র গঠন করি তখন নাগরিক পরিচয়ে রাষ্ট্র গঠন করি, হিন্দু বা মুসলমান পরিচয়ে রাষ্ট্র গঠন করিনা।
বৃটিশ ভারতে প্রবর্তিত হয়েছিলো সম্প্রদায়ভিত্তিক নির্বাচন। এটাকে বলা হয় রোয়েদাদ। এই রোয়েদাদেই ছিল ভবিষ্যৎ ভারত ভাগের বীজ। ১৯৩২ সালের সাম্প্রদায়িক রোয়েদাদের ফল হয়েছিলো এটাই যে ভারতে হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায় একসাথে রাষ্ট্র গড়ে থাকতে পারবেনা। সেটা ভালো হয়েছে নাকি মন্দ হয়েছে সেই আলোচনা ভিন্ন আলাপ। কিন্তু সম্প্রদায়ভিত্তিক নির্বাচন মানেই সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে রাষ্ট্র ভাংগার প্রস্তুতি নেয়া।
এরশাদের বয়স হয়েছে ম্যালা, কিন্তু তার শয়তানি বুদ্ধি আর গেলোনা। দেশটাকে ধবংস না করে মনে হয় এই ব্যাটা থামবে না।
No comments